মিরর স্পোর্টস ডেস্ক
ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৫, ২০২৪
০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হার দিয়ে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ২০১ রানের বড় ব্যবধানেই হেরেছিল টাইগাররা। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১০১ রানের দারুণ এক জয়ে ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ।
এ বছর আর কোনও টেস্ট ম্যাচ নেই বাংলাদেশের। জ্যামাইকায় কিংস্টনে পেসারদের দাপট আর তাইজুলের ঘূর্ণিতে ১৫ বছর পর দ্বীপপুঞ্জে লাল বলের ক্রিকেটে জয় পেলো বাংলাদেশ। এর আগ সর্বশেষ ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ।
কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে একাধিক রেকর্ডও করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২০০ বা তার চেয়ে কম রানে অলআউট হয়েও প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। এরআগে ২০১৬ সালে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ২২০ রানে অলআউট হয়েও ইংল্যান্ডকে ১০৮ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা।
দ্বিতীয় পেসার হিসেবে সিরিজসেরা তাসকিন: বাংলাদেশের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে টেস্টে সিরিজসেরা হলেন তাসকিন আহমেদ। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথম পেসার হিসেবে জিম্বাবুয়েতে সিরিজসেরা হয়েছিলেন রবিউল ইসলাম।
দেশের বাইরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সর্বোচ্চ তিনবার টেস্ট জয়: ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এখন পর্যন্ত তিনটি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ। যা দেশের বাইরে কোনও জায়গায় সর্বোচ্চ। পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়েতে বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছে দুটি করে।
দেশের বাইরে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং তাইজুলের: দেশের বাইরে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং এখন তাইজুল ইসলামের। জ্যামাইকায় ৫০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছের বাঁহাতি এই স্পিনার। এর আগে ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
টেস্ট সিরিজে টাইগার পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজে বাংলাদেশের পেসাররা মিলে পেয়েছেন ২৫ উইকেট। যা কোনও টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশি পেসারদের জন্য সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। এর আগে দুবার এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট পেয়েছিলেন পেসাররা।
রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়: টেস্টে রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয় এটি। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের টেস্ট জয় ছিল ২০০৯ সালে সেন্ট ভিনসেন্টে। সেবার ৯৫ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এএন/০৩