নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ফেরানো কঠিন: সিলেটে হাসান মাহমুদ টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক


মার্চ ০৯, ২০২৫
০৩:১৪ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৯, ২০২৫
০৩:২৫ অপরাহ্ন



নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ফেরানো কঠিন: সিলেটে হাসান মাহমুদ টুকু



বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ফেরানো কঠিন। যতদ্রুত সম্ভব দেশে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অন্তবর্তি সরকারের দায়িত্ব।’

আজ রবিবার (৯ মার্চ) সিলেট নগরের আমান উল্লাহ কনভেনশন হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 


এ সংক্রান্ত ভিডিও দেখুুন- 



সিলেটের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সাধারণ মানুষেদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহিফল আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেওয়া জাতীয়তাবাদকে বিশ্বাস করে। যাকে বলে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে থাকা। নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি ফেরানো কঠিন। যতদ্রুত সম্ভব দেশে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অন্তবর্তি সরকারের দায়িত্ব।’


ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকার যখন বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে তখন তিনি পায়ে হেঁটে গেছেন। তিনি যখন স্বৈরাচারের কারখানা থেকে বের হয়েছেন তখন তিনি হুইল চেয়ারে বসে বের হয়েছেন। তারপরও তিনি কখনো মনোবল হারাননি।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে ও দলের জন্য দেশনেত্রী আজীবন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তিনি কখনো স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট পলাতক শেখ হাসিনার কাছে মাথা নত করেননি।’ টুকু আরো বলেন, ‘দেশ থেকে কোনো স্বৈরাচার পালালে ফিরে আসার নজির কোথাও নেই। যারা পালিয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের লুটপাট, হত্যা-গুম, নির্যাতনের বিচার করতে হবে।’

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দলের সঙ্গে অন্য দলকে মেলানো যাবে না। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস পুরাতন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে যখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন তারা কেউ নাই। আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস তা ওই রাতেই শুরু হয়েছে। ৭১ সালে তারা পালিয়ে ভারতে চলে গেল। তখন বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষকে রক্ষা করার কোনো লোক ছিল না, জুলাই বিপ্লবে তারা আবার পালিয়েছে, পালানোর ইতিহাস তাদের জন্য মানানসই।’

আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য অনেক কঠিন হবে জানিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন হবে। আমিও বলছি, সবচেয়ে কঠিন হবে। 

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম এ সালাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নুরুল হুদা জায়গীদার, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সালেহ আহমদ খসরু,জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক অ্যাডভোকেট নুরুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল গফফার, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ন- সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, বিএনপি নেতা আজমল বখত সাদেক, সাদিকুর রহমান সাদিক, মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেকদলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, লোকমান আহমদ প্রমুখ।

দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ খান। 


এএফ/০৪