এক তরুণের প্রেমে মজেছেন নেইমারের মা

খেলা ডেস্ক


এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৬:২৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৩, ২০২০
০৬:২৯ পূর্বাহ্ন



এক তরুণের প্রেমে মজেছেন নেইমারের মা

'লাভ ইন দ্য টাইম অব কলেরা', খুবই বিখ্যাত একটি বই। বহুদিন পর আরেক মহামারি পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এখনই সময় তেমন এক কালজয়ী উপন্যাসের জন্ম দেওয়ার, যার নাম হতে পারে সেই পুরোনো ছন্দে, 'লাভ ইন দ্য টাইম অব করোনা।' ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সংশ্লিষ্টরা অন্তত চেষ্টার কমতি রাখছেন না।

এই তো সপ্তাহ খানেক আগে খবর এল সাবেক স্ত্রীর আত্মীয়ার সঙ্গে প্রেম করছেন জাতীয় দলের সাবেক স্ট্রাইকার হাল্ক। আর এ সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন তুলছেন নেইমারের মা নাদিন গন্সালভেস। ২২ বছরের এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা প্রকাশ করেছেন ইনস্টাগ্রামে। 

ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সুপারস্টার নেইমারকে ছাপিয়ে হঠাৎ আলোচনায় তার মা নাদিন গনকালভেস। ৫২ বছর বয়সী এই মহিলা ডেট করছেন ২২ বছর বয়সী এক তরুণের সঙ্গে। সেই তরুণ আবার নেইমারের একজন সুপারফ্যান। বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে ক্রীড়া দুনিয়ায়। সেই তরুণের নাম তিয়াগো রামোস। ইনস্টাগ্রামে রামোসের সঙ্গে একটি অন্তরঙ্গ ছবি পোস্ট করেছেন নেইমারের মা নাদিন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এটার (এই সম্পর্ক) কোনো ব্যাখ্যা নেই। এমনই থাকতে চাই।’

১৯৯১ সালে নেইমারের বাবা ওয়াগনার রিবেরিওর সঙ্গে ঘর বাঁধেন নাদিন। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। তবে নেইমারের সঙ্গে সম্পর্কটা এখনো আগের মতোই আছে। নিজের চেয়েও ৬ বছরের ছোট একজনের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন তিনি। প্যারিস সেন্ট জার্মেই তারকা মায়ের ওই ছবিতে কমেন্ট করেছেন ‘সুখী হও মা। তোমাকে ভালোবাসি।’

এমনকি নেইমারের বাবা রিবেরিও আশীর্বাদ জানান নাদিন ও রামোসকে। ২২ বছর বয়সী রামোস নেইমারকে এতটাই পছন্দ করেন যে ২০১৭ সালে পাঠানো একটি মেসেজে বলেছিলেন, ‘নেইমার তুমি ফ্যান্টাস্টিক। তোমার মত একজনের ভক্ত হওয়ার আবেগটা আমি কীভাবে প্রকাশ করবো জানি না। আমি তোমার খেলা দেখি। খুব অনুপ্রাণিত হই। আশা করি একদিন তোমার সঙ্গে বসে এই বার্তা পড়বো আমি।’

‘আমি জানি. একদিন তোমার সঙ্গে সাক্ষাত হবে আমার। আমি স্বপ্নবাজ। নিজের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমি হাল ছাড়ি না। ঈশ্বর তোমার সহায় হোন। সফল আর সুখী হও তুমি।’ গত জানুয়ারিতে রামোসের স্বপ্ন পূরণ হয়। নেইমারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একমাস পর ব্রাজিলিয়ান তারকার বার্থডে পার্টিতেও ছিলেন এই গেমার।

এআরআর-০৮-বিএ-১৫