বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রিস পার্লামেন্টের

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২৩, ২০২২
১২:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৩, ২০২২
১২:৫৫ পূর্বাহ্ন



বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রিস পার্লামেন্টের
১৮ থেকে ২০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধতা দেবে দেশটি

মৌসুমি কাজের ভিসায় পাঁচ বছরের জন্য মোট ১৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেবে গ্রিস। দুই দেশের মধ্যে হওয়া এই সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে গ্রিসের পার্লামেন্ট। পাশাপাশি দেশটিতে থাকা ১৮ থেকে ২০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধতা দেবে তারা।

গ্রিসে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছিল দুই দেশের সরকারের মধ্যে। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের  ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ঢাকা ও এথেন্সের সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ও। সেই সমঝোতা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে পাঁচ বছরে ১৫ হাজার মৌসুমি কর্মী নিতে সম্মত হয় গ্রিস। তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন নির্ভর করছিল দেশটির পার্লামেন্টের অনুমোদনের ওপর।

বুধবার (২০ জুলাই) প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে। দেশটির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি টুইটে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এই উদ্যোগের ফলে ‘অবৈধ অভিবাসনের কারণগুলো’ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারির সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, গ্রিস সরকার বাংলাদেশিদের প্রতি বছর কৃষিখাতে চার হাজার মৌসুমি কাজের ভিসা দিবে। আগামী পাঁচ বছরে সর্বমোট ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে এই ভিসা প্রদান করবে দেশটি। চুক্তি অনুযায়ী, মৌসুমি ভিসা নিয়ে আসা বাংলাদেশিরা একটি নির্দিষ্ট কাজ নিয়েই গ্রিসে আসবেন এবং বছরে নয় মাস গ্রিসে বসবাস ও কাজের সুযোগ পাবেন।

কৃষিখাতে ভিসা পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে নয় মাস পরে বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে, যা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার দায়বদ্ধ থাকবে। একজন ব্যক্তি এভাবে বছরে নয় মাস করে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর গ্রিসে বৈধ অভিবাসী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কোনো ব্যক্তি এই ভিসা নিয়ে গ্রিসে কাজ করলেও তিনি নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।

এদিকে, গ্রিসে থাকা প্রায় ২০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বৈধতা দেবে তারা। বিষয়টি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের আরও একটি সুখবর দিতে চাই। গ্রিসে ১৮-২০ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি আছেন। তাদের বৈধতা দেবে তারা।’

শুক্রবার (২২ জুলাই) বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটে আমাদের নাগরিক দায়িত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। 


এএফ/০২