লন্ডনের ডেগেনহ্যামে হাওয়াপাড়াবাসীর মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

যুক্তরাজ্য সংবাদদাতা


আগস্ট ২৬, ২০২৩
১০:৫১ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৬, ২০২৩
১০:৫১ অপরাহ্ন



লন্ডনের ডেগেনহ্যামে হাওয়াপাড়াবাসীর মিলন মেলা অনুষ্ঠিত
‘নব প্রজন্মের সঙ্গে দেশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এমন আয়োজনের বিকল্প নেই’


প্রবাসের যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততায় আত্নীয়-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে কার না মন চায়। সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে রেখে আসা মা ও মাঁটি টানে এখানকার সকলকেই। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি যে কী অপরিসীম টান তা একমাত্র প্রবাসীরাই বুঝেন। ইট-সুড়কির ভেড়াজালে আবদ্ধ এই যান্ত্রিক প্রবাস জীবনে ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও অনেকেই নিজ আত্নীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারন না। তাই বাড়ে দূরত্ব। দেশে ফেলে আসা শৈশব ও কৈশোরের দুরন্ত মনে করে নস্টালজিয়ায় ভোগেন অনেকে। 

ব্রিটেনে দীর্ঘদিন প্রবাসী বাঙালিদের প্রায় সবার গল্প একই রকম। একই অম্লমধুর আর বিষাদের। 


গতানুগতিক এই চিত্র থেকে বেরিয়ে প্রবাসে বসবাসরত কয়েকপ্রজন্মের সকলকে যদি এক করা যায় তাহলে কেমন হয়?  তেমনই একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন হয়েছিল গত ২০ আগষ্ট রবিবার লন্ডনের ডেগেনহ্যামে। একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্য ফার্ম হাউসে জড়ো হয়েছিলেন সিলেট নগরের ঐতিহ্যবাহী হাওয়াপাড়া এলাকার প্রায় চার শতাধিক সদস্য। ইউকে দিশারী এই অভূতপূর্ব  মিলন মেলার আয়োজন করে। 

 একই স্থানে একই সময়ে সবাইকে এক সঙ্গে পাবার এই আনন্দময় মুহুর্তের প্রতীক্ষায় যেন ছিলেন সকলেই। তাই  সাপ্তাহিক ছুটির এই দিনে ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থঅনে স্বত:স্ফুর্তভাবে জড়ো হয়েছিলেন হাওয়াপাড়াবাসী।


প্রবীণরা শৈশব স্মৃতি রোমন্থন করে হারিয়ে গিয়েছিলেন পুরোন দিনে। নতুন প্রজন্মকে দিয়েছেন জীবনের দীক্ষা। শুধু তাই নয়-এলাকার আর্তসামাজিক উন্নয়নে সবাই এক সঙ্গে কাজ করারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে সিলেটের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ- হাওয়াপাড়া জামে মসজিদ পূন:নির্মাণের জন্য নেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। তাছাড়া সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন এ ধরণের আয়োজন এ দেশে বেড়ে উঠা নব প্রজন্মের সঙ্গে দেশের সেতুবন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে। 

দীর্ঘদিন পর একে অপরের সঙ্গে দেখা হওয়ায় অনেকেই ছিলেন বেশ উৎফুল্ল। নেচে-গেয়ে আর আনন্দ আড্ডায় তারা কাটিয়েছেন পুরো একটি দিন। দিনব্যাপি মিলনমেলা জুড়ে বিভিন্ন খেলাধুলা ছাড়াও বিনোদনের নানা আয়োজন ছিল। ছিল দেশীয় বিভিন্ন পিঠাপুলীর ব্যবস্থা। সব বয়সী মানুষ সেখানে অংশ নিয়েছেন, করেছেন আনন্দ। 


ইউকে দিশারীর সভাপতি ইসফাকুদ্দৌলার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম রুহেলের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা হাওয়াপাড়ার আর্ত সামাজিক উন্নয়নেপূর্বের মতো কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়া শিক্ষা ও দ্রারিদ্র বিমোচনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিয়াউর রহমান সাকলাইন। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আব্দুল কাইয়ূম মাক্কু, মাহবুবুর রহমান ইমন ও জাবির হোসাইন। 


এএফ/০৩