জাপানের কাছে জার্মানি হারল ৪-১ গোলে

খেলা ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
০২:১৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
০২:১৮ পূর্বাহ্ন



জাপানের কাছে জার্মানি হারল ৪-১ গোলে


আগামী বছরের ইউরো কাপের আয়োজক জার্মানি। অথচ ফ্লিকের দলের হাল বেহাল। একের পর এক ম্যাচ হারছে তারা। বিশ্বকাপের পর প্রদর্শনী ম্যাচেও জাপানের কাছে হারল জার্মানি।

জার্মানির ফুটবলে খারাপ সময় চলছেই। এ বার জাপানের কাছে প্রদর্শনী ম্যাচে হেরে গেল চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নেরা। ঘরের মাঠে জার্মানি হারল ১-৪ ব্যবধানে। গত বিশ্বকাপের পর আবার জাপানের কাছে হারল জার্মানি। ঘরের মাঠে শেষ ছ’টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল।

উলফসবার্গের ভক্সওয়াগান এরিনায় প্রথমার্ধেই ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে জার্মানি। ১১ মিনিটে জাপানকে এগিয়ে দেন জুনিয়া ইতো। গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বৃদ্ধি করে জার্মানেরা। ১৯ মিনিটে দলের পক্ষে সমতা ফেরান বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার লেরয় সানে। তার পরেও সুবিধা করতে পারল না জার্মানি। বরং জাপানের একের পর এক আক্রমণে ঘরের মাঠেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে যান জোশুয়া কিমিচেরা। ২২ মিনিটে জাপানের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন আয়েসে উয়েদা। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা করে জার্মানি। কিন্তু জাপানের রক্ষণ সংগঠন ভাঙতে পারেননি থমাস মুলারেরা। প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে সুবিধা করতে পারেনি জাপানও। ম্যাচের শেষ বেলায় জার্মানদের হতাশার সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি জাপানিরা। ৯০ মিনিটে দলের পক্ষে তৃতীয় গোল করে জয় নিশ্চিত করেন তাকুমা আসানো। এই গোল খাওয়ার পর জার্মানি ম্যাচ ড্র করার আশাও কার্যত ছেড়ে দেয়। ২ মিনিট পরেই আও তানাকা জাপানের হয়ে চতুর্থ গোল করে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন।

২০২৪ সালে ইউরো কাপের আয়োজন জার্মানি। তার আগে দলের শোচনীয় পারফরম্যান্সে উদ্বিগ্ন সে দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। ২০২১ সালের অগস্টে জোয়াকিম লোর পর জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বায়ার্নের প্রাক্তন কোচ ফ্লিক। গত দু’বছরে তাঁর কোচিংয়ে জার্মানি ২৫টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ১২টিতে। শেষ ১২টি ম্যাচের তিনটে জয়ে পেয়েছে ফ্লিকের দল। মুলারেরা হারিয়েছেন ওমান, কোস্টারিকা এবং পেরুকে।

২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে জাপানের কাছে ১-২ গোলে হেরেছিল জার্মানি। মাত্র একটি ম্যাচ জিতে গ্রুপ থেকেই বিদায় নিয়েছিল চার বারের বিশ্বজয়ীরা।

এএন/০২